জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই : খুবি উপাচার্য

এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনে জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে বাংলাদেশে। বিশেষ করে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এখন অতিবৃষ্টি ও বন্যা হচ্ছে। এগুলো সবই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। এখন কোনো একক অঞ্চল নয়, সারা বিশ্বই জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ থেকে আমাদের রক্ষা পেতে অধিক হারে বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই। কারণ, বৃক্ষই পারে অধিকমাত্রায় কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে অক্সিজেন উৎপন্ন করতে।  
আজ ২৭ জুন (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯.৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে ‘অ্যাওয়ারনেস বিল্ডিং ক্যাম্পেইন অন এডভার্স ইমপ্যাক্ট অব ক্লাইমেট চেইঞ্জ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের এনভায়রনমেন্টাল অ্যাওয়ারনেস ক্লাবের আয়োজনে ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সহযোগিতায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
উপাচার্য আরও বলেন, গবেষণাকে এগিয়ে নিতে ইন্ডাস্ট্রি এবং কর্পোরেট সেক্টরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের অর্থায়নে মানসম্মত ও যুগোপযোগী গবেষণা হতে পারে। যা হবে সমাজের মানুষের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে জলাবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও যে বিষয়গুলো গবেষণা করছে তার প্রভাব মাঠ পর্যায়ে পৌঁছায় কি না তা দেখা যাবে এ ধরনের সেমিনার থেকে।
তিনি বলেন, দেশ এখন এগ্রিকালচার বেইজড ইকোনমি থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল বেইজড ইকোনমির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। দেশকে টেকসই উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে এর প্রয়োজন রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণার অংশ হিসেবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনার অত্যন্ত সময়োপযোগী। সমাজের মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য আয়োজকদের আমি ধন্যবাদ জানাই।
ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. মুজিবর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার মিজানুর রহমান। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ডিজিএম মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের কো-অর্ডিনেটর ও ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক সাদিয়া ইসলাম মৌ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর টেকনিক্যাল সেশনে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা করেন এনভায়নমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ডিজিএম মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, অ্যাওসেড এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর শামিম আরফিন এবং মাছরাঙা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি আবু হেনা মোস্তফা জামাল। এ সেমিনারে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সমাজকর্মী, ব্যাংক কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।