খুবিতে দু’দিনব্যাপী ড্রইং কর্মশালা শুরু
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা স্কুলের ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ড্রইং এন্ড পেইন্টিং বিভাগের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এর অংশ হিসেবে পাঠ্যক্রম ও শিক্ষা-পদ্ধতি বিনিময় কার্যক্রমের মাধ্যমে দুইপক্ষের সার্বিক শিক্ষা-কার্যক্রমকে সমৃদ্ধ করা এবং শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতার পরিসরকে বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিন আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ড্রইং কর্মশালা শুরু হয়েছে।
আজ ১৫ মে (বুধবার) সকাল ১০টায় চারুকলা স্কুলের স্মার্ট ক্লাসরুমে এ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. নিহার রঞ্জন সিংহ। প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ড্রইং এন্ড পেইন্টিং বিভাগের অধ্যাপক প্রথিতযশা চিত্রশিল্পী শেখ আফজাল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনের প্রধান মো: আমিনুল ইসলাম। ড্রইং কর্মশালা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের প্রধান রকিব হাসান। শিক্ষকদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সহযোগী অধ্যাপক মো: তরিকত ইসলাম ও সহকারী অধ্যাপক বিটপ শোভন বাছাড়।
সহকারী অধ্যাপক শাপলা সিংহের সঞ্চলনায় আরও বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রইং এন্ড পেইন্টিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রাকিন নাওয়ার ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের বিএফএ ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মনীষা দীপান্বিতা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষকবৃন্দ ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ। ড্রইং কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের ১০ জন শিল্পশিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত প্রধান অতিথির বক্তব্যে চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. নিহার রঞ্জন সিংহ বলেন, এমওইউ’র ফলে দুই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাঠ্যক্রম ও শিক্ষা-পদ্ধতি বিনিময় হয় এবং শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতার পরিসরকে বৃদ্ধি করে। তিনি আরও বলেন ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের এমন উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। এমন উদ্যোগ আমাদের বেশি বেশি গ্রহন করতে হবে তাহলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীরা আরও বেশি সমৃদ্ধ হবে।
কর্মশালার প্রধান প্রশিক্ষক অধ্যাপক শিল্পী শেখ আফজাল হোসেন বলেন, দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এ উদ্যোগ আমাদের শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন মাত্রা নিয়ে আসবে। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে এটাই প্রত্যাশা।