খুবির ৭ম সমাবর্তন চলতি বছরের শেষার্ধে : উপাচার্য

২০২৪ সালের শেষের দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম সমাবর্তন আয়োজনের উদ্যোগ নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এজন্য যথাসম্ভব দ্রুত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে সমাবর্তনের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সাথেও আলোচনা করা হবে। এছাড়া আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সমার্বতন বাস্তবায়নে বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ ২৩ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও তৎসংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। এর আগে সভায় উপস্থিত একাডেমিক প্রধানরা ২০২৪ সালের শেষ দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম সমাবর্তন আয়োজনের বিষয়ে সম্মতি প্রদান করেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সার্বিক সহযোগিতায় শিক্ষা ও গবেষণায় সাফল্য আসছে। এখন আমদের এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া ডিগ্রিগুলোর মান বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অ্যাক্রেডিটেশন অর্জন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্রাইটেরিয়া পূরণ করাও জরুরি। অ্যাক্রেডিটেশন অর্জনের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে স্মার্ট ক্লাসরুম ও ল্যাবরেটরি তৈরি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় কেন্দ্রীয় গবেষণাগারকে আইএসও সার্টিফাইড করতে চেষ্টা চলছে। এর সাথে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে বিদ্যমান ল্যাবরেটরিগুলোরও আইএসও সার্টিফাইড করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আপাতত কোনো নতুন ডিসিপ্লিন (বিভাগ) খোলার ভাবনা নেই। যে সব ডিসিপ্লিনে এখনো পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে, সেগুলো পূরণ করাই এখন প্রধান লক্ষ্য। তবে চতুর্থ একাডেমিক ভবনের কাজ শেষ হলে এসব ডিসিপ্লিনের জায়গার সমস্যা দূর হবে। আর যেসব ডিসিপ্লিনের মাঠ গবেষণার জন্য জমি প্রয়োজন তাদেরকে সহযোগিতা দেওয়া হবে।
সভায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশন আয়োজনের জন্য আগামী ০১ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রেজিস্ট্রার গ্র্যাজুয়েটদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় উপাচার্য এ বছর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি অবহিত করলে উপস্থিত শিক্ষকরা সাধুবাদ জানান। এছাড়া এ বছর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় স্থাপত্য ডিসিপ্লিনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার দিনই নেওয়া হবে বলে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়টিও অবহিত করেন উপাচার্য।
সভায় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন, শিক্ষকদের ইউনিভার্সিটি প্রোফাইল ও গুগল স্কলার প্রোফাইল আপডেট, ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ, সঠিকভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এসিআর প্রতিপালন, দ্রুততম সময়ে অগ্রিমের সমন্বয় প্রদান এবং সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), প্রভোস্ট এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিভাগীয় পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন ও সূচনা বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।