খুলনা অঞ্চলে তুলার সামগ্রিক উন্নতি ও সম্প্রসারণে খুবির সাথে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের এমওইউ স্বাক্ষর
খুলনা অঞ্চলে তুলার সামগ্রিক উন্নতি ও সম্প্রসারণে গবেষণার লক্ষ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ড (সিডিবি) এর এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) আজ ২১ জানুয়ারি (রবিবার) স্বাক্ষরিত হয়। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী ও তুলা উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ফখরে আলম ইবনে তাবিব এই এমওইউতে স্বাক্ষর করেন। পরে তা উভয়পক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কৃষি গবেষণায় জোর দেন। যার ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষির উন্ননে গবেষণার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। আমাদের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মানোন্নয়ন ও বিশ্ববিদ্যালয়কে রিসার্চ ফোকাসড ইউনিভার্সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় আশানুরূপ সাফল্য পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে সীমিত সম্পদ, সাথে চাষযোগ্য জমিও কম। এসব কিছু ব্যবহার করে গবেষণা করে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। তবেই দেশ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।
এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ফখরে আলম ইবনে তাবিব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. শামীম আহমেদ কামাল উদ্দিন খান। এসময় সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাক্ষরিত এমওইউতে- উপকূলীয় এলাকায় তুলা উৎপাদনের উপযোগিতা সংক্রান্ত গবেষণার প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করা, তুলার উপযুক্ত জাতগুলির স্ক্রীনিং এবং তুলা চাষের টেকসই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির বিকাশ এবং উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকদের জমিতে স্থানান্তর, খুলনা অঞ্চলে তুলার সামগ্রিক উন্নতি ও সম্প্রসারণের জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, তুলা উন্নয়ন বোর্ড এবং কৃষকদের মধ্যে সংযোগের উন্নয়ন, মাস্টার্স ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধান এবং বিনিময় ও উপলব্ধ সম্পদ শেয়ার করে গবেষণা সমর্থনের বিষয় উল্লেখ রয়েছে।