খুবিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত
শিক্ষকদের দেখেই শিক্ষার্থীরা মনের মধ্যে আদর্শিক ব্যক্তিত্ব তৈরি করে : উপাচার্য
দেশে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে আজ ০৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০.৩০ মিনিটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকা এবং শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীসহ সকলের শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত এ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। শোভাযাত্রাটি হাদী চত্বর থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অদম্য বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ১৯৯৫ সালে সর্বপ্রথম বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপনে ইউনেস্কোর যে ঘোষণা, তারই পরিপ্রেক্ষিতে এবারই প্রথম বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে শিক্ষক দিবস পালন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে শিক্ষকদের আত্মমর্যাদা ও সম্মান যে বৃদ্ধি পেয়েছে এই দিবস পালনের মাধ্যমে সেটি প্রতিষ্ঠিত হলো। এজন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, এই শিক্ষক দিবসে আমি সর্বপ্রথম সেইসব শিক্ষকদের স্মরণ করছি, যাদের হাতে আমার প্রথম বর্ণমালা ও প্রথম অক্ষরটি শিখেছি। শিক্ষকরা জাতি গঠনের কারিগর। একজন শিক্ষার্থী ক্লাসে যখন একজন শিক্ষকের বক্তব্য শোনে তখন সে শুধু বক্তব্যই শোনে না, শিক্ষকের প্রতিটি জিনিস সে অনুসরণ করে এবং তার মনের মধ্যে একজন আদর্শিক ব্যক্তিত্ব তৈরি করে। শিক্ষকদের দেখে শিক্ষার্থীরা যেন সেই আদর্শ ব্যক্তিত্বের দেখা পায়, আজকের এই শিক্ষক দিবসে সব শিক্ষকের মধ্যে এই জিনিসটি জাগ্রত হোক তিনি সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এস এম ফিরোজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালকসহ বিপুল সংখ্যক শিক্ষক (প্রাক্তন ও বর্তমান)-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।