এই সেগমেন্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত প্রফেসর ড. অনুপম কুমার বৈরাগী। তাঁর নেতৃত্ব এবং দিকনির্দেশনা প্রোগ্রামটিকে একটি সফল এবং সার্থক আয়োজন হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।

ইভেন্ট বাস্তবায়নে ভলেন্টিয়ারদের অবদান

প্রোগ্রামটি সফল করতে একটি নিবেদিতপ্রাণ ভলেন্টিয়ার টিম কাজ করেছে। শিক্ষার্থী ও সংগঠক মিলে পরিকল্পনা থেকে শুরু করে অংশগ্রহণকারীদের সহায়তা, ইভেন্ট পরিচালনা এবং অতিথি আপ্যায়নের প্রতিটি ধাপে তারা বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমই প্রোগ্রামটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করেছে।

উদ্ভাবনী প্রকল্প ও গবেষণার বৈচিত্র্য

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া দলগুলো পরিবেশ, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, এবং প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধানের জন্য নতুন নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করেছে। মোট ৫০টি দল তাদের উদ্ভাবনী প্রকল্প পোস্টার প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন।

বিজয়ী দলগুলোর সাফল্য:

চ্যাম্পিয়ন দল - TrueSight

প্রকল্প: AI glasses designed to perceive the world through sound

এই উদ্ভাবনী চশমাটি দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য আশীর্বাদ। এটি শব্দের মাধ্যমে চারপাশের পরিবেশ বুঝতে সহায়তা করে।

১ম রানার-আপ দল - Pepilika

প্রকল্প: text generation from Bengali Sign Language using image convolution and neural networks

বাংলা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে টেক্সট জেনারেশনের এই প্রযুক্তি যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

২য় রানার-আপ দল - Hercules

প্রকল্প: automated identification of Sundarbans plant species using YOLO-based image classification

সুন্দরবনের উদ্ভিদ প্রজাতি চিহ্নিতকরণে এটি অত্যন্ত কার্যকর একটি সমাধান।

ইভেন্টের মূল দিকগুলো

আন্তর্জাতিক মানের আয়োজন

ইভেন্টটি প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়িয়েছে।

পুরস্কার ও স্বীকৃতি:

চ্যাম্পিয়ন দল: ১০,০০০ টাকা

১ম রানার-আপ: ৮,০০০ টাকা

২য় রানার-আপ: ৫,০০০ টাকা

প্রধান অতিথির বক্তব্য:

ইভেন্টের প্রধান অতিথি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ রেজাউল করিম স্যার বলেন, “এই ধরনের উদ্ভাবনী আয়োজন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গবেষণা এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্লাস্টারের এ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।”

ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা,

প্রোগ্রামের সার্বিক সাফল্যের পেছনে যারা কাজ করেছেন, বিশেষ করে প্রফেসর ড. অনুপম কুমার বৈরাগীর দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দিকনির্দেশনা, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। ভলেন্টিয়ার টিমের সদস্যদের প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ইভেন্টটিকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করেছে। অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল এবং অতিথিদের ধন্যবাদ জানাই, যারা এই ইভেন্টটিকে সফল করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন।

উদ্ভাবনের পথে আগামীর যাত্রা

SynergyX 2024 শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি উদ্ভাবন, গবেষণা, এবং প্রযুক্তি বিকাশের এক বিশাল মঞ্চ। ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে আরও বড় ভূমিকা পালন করবে।

ইশতিয়াক আহম্মেদ

কনভেনর, Innovation Showcasing,

SynergyX 2024